উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ
দু’সপ্তাহ ধরে স্কুলের মাঠ দ খ ল করে চারিদিকে টিন দিয়ে ঘিরে কাঠ দিয়ে সাজানো হয়েছে ৫০টি স্টল। রয়েছে পোশাক, খাবার, খেলনা, গয়না আর গৃহস্থালি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান, নাগরদোলা, নৌ কা, ড্রাগন প্রভৃতি রাইড। সকাল থেকে ম ধ্যরাত পর্যন্ত চলছে মে লা। অথচ এব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়নি কিছুই। সম্পন্ন হয়নি প্র শাসনিক অ নুম তি। মে/লার ব্যানারে ‘‘সার্বিক সহযোগীতায় নওগাঁ জেলা পু লি শ” লেখা থাকলেও পু লি শে র উ/র্ধতন মহলও এব্যাপারে কিছুই জানেন না। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) থেকে নওগাঁ শহরের প্রাণকেন্দ্র হাট-নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ব ন্ধ করে বিদ্যালয় মাঠে লাগানো হয়েছে মাসব্যাপি এ ‘‘শীতবস্ত্র ও শিল্প পণ্য মে লা”। শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে বিকল্প রাস্তা দিয়ে। অ নুমতি না থাকলেও মে লায় প্রবেশের জন্য কাটতে হচ্ছে ২০ টাকার টিকিট।
রাজশাহী শিল্প এন্ড বেনারসি জামদানি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এর আয়োজক। মে লার ডেকোরেশনের সময় থেকে মে লা চালু পর্যন্ত এই বার্ষিক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্য হত হয়েছে মা রাত্ম কভাবে। এমন আ ত্মঘা তি কাজ কেন করতে গেলেন তার কোন স দুত্তর দিতে পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে দারুন ক্ষু ব্ধ শিক্ষার্থীরা। আর সন্তানদের লেখাপড়ার মান নিয়ে শ ঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। এনিয়ে নানা মহলে চলছে বি তর্ক আর গু ঞ্জন। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় কিভাবে মেলা চলবে তা নিয়ে উ দ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
আয়োজক সংগঠনের স্বত্ত্বাধিকারি রহিদুল ইসলাম জানালেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেলা আয়োজনের লিখিত অনুমতি দিয়েছেন, আর জেলা প্র শাসনের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
হাট-নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘‘এলাকার এলিট পারসন বিশেষ করে প্রবাহ সংসদের সভাপতি সম্পাদকসহ অন্যদের অনুরোধে স্কুল মাঠে মে লা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্কুলের সভাপতিকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।”
ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যা জিস্ট্রে ট জান্নাত আরা তিথি সাংবা দিকদের বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক স্কুল মাঠে মে লা চালানোর অনুমতি দিতে পারেন না। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানাননি।”
নওগাঁর পু লিশ সু পার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওই মে লা র সঙে জেলা পু লিশে র কোন স ম্পৃক্ততা নেই। ব্যানারগুলো খুঁলে ফেলতে বলা হয়েছে।”
নওগাঁর জেলা প্র শাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মে লা বিষয়ে একটি আবেদন এসেছে। অনুমদনের প্রক্রিয়া চলছে।”
নওগাঁ

Post a Comment