Top News

লন্ডন, দিল্লী ও পিণ্ডিতে বসে রাজনীতি নয় আসতে হবে বাংলাদেশে- ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম

 




রেজাউল ইসলাম মাসুদ,  ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

তারুণ্যের উৎসব শুরু হওয়ার আগেই সকাল থেকে খন্ড খন্ড মিছিল আর ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দলে দলে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। মুহুর্তেই পরিপুর্ন হয়ে উঠে ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলা পাবলিক ক্লাব মাঠ। 

পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় এ তারুণ্যর উৎসব ও নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেন,  আমরা দুর্নীতি ও চাদাবাজ কোন নেতৃত্ব চাই না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দুর্নীতি,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত  প্রতিনিধি বাছাই করেছি। আগামী দিনেও টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত প্রতিনিধি বাছাই করা হবে ইনশাল্লাহ।


সমাবেশে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত  প্রার্থী মিজানুর রহমান মাস্টার বলেন,৫ই আগস্টের পরে আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না, কেউ যদি আমাদেরকে ভয় দেখায় কেন্দ্র দখল করবে, ভোট চুরি করে পালিয়ে যাবে এই ধরনের ভয়কে আমরা মোটেও পরোয়া করি না। সবাইকে কেনা সম্ভব হলেও তরুণদের কেন সম্ভব নয়। আমরা বলতে চাই গোটা দেশের মানুষ ইসলামিক দলগুলোর কাছে  নিরাপদ।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ১২১ বছর আগে আমরা দেখেছিলাম একজন স্বৈরশাসক লক্ষণ সেন, যিনি আমাদের উপর শোষণ করছিলেন। ঠিক তেমনি ভাবে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমরা বলতে চাই শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া শুধুমাত্র পালিয়ে যাওয়া ছিল না। তার পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইনসাফ নিশ্চিত হয়েছে।


অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, এদেশে তরুণরা ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ইনসাফের পক্ষে রায় দিয়েছে। আগামী দিনেও ইনসাফের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। দাড়িপাল্লার প্রতিনিধি নির্বাচনে তরুণরা অপেক্ষায় আছে।  ৫৪ বছরের বঞ্চনাকে ভাঙার জন্য। কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ মুখিয়ে আছে  ইনসাফের পক্ষে। সকল মানুষের মুক্তির জন্য তাদের অধিকারের জন্য।

এ তারুণ্যের উৎসব ও নির্বাচনী সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post