হিলি,(দিনাজপুর )সংবাদদদাতা:
১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে শত্রু মুক্ত হয়েছিল সীমান্তবর্তী এলাকা হিলি। পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন, হত্যা যজ্ঞ আর সম্ভ্রম হানির কথা মনে করিয়ে দেয় আজকের এ দিনটির কথা।
১৯৭১ সালে পাক হানাদাররা উপজেলার ছাতনী গ্রামে ঘাটি করে। বিভিন্ন দিকে ক্যাম্প গঠনের মাধ্যমে ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান নেয় মুহাড়াপাড়ায়। একই সঙ্গে একটি গভীর খাল কেটে বেশ কয়েকটি বাংকার তৈরি করে তারা। ৬-৭ হাজার পাকসেনা ৪০টি ট্যাংক নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর ভারত সরকার বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারকে সমর্থনদানের পর হাকিমপুরে ভারত-বাংলাদেশ মিত্র বাহিনীর সঙ্গে পাক সেনাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। প্রথমদিকে মুহাড়াপাড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিত্র বাহিনীরা নানা বাধার সম্মুখীন হয়। এসময় তরুণ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা শহীদ হন। পরবর্তীতে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা আরও সু-সংঘটিত হয়ে ১০ ডিসেম্বর মুহাড়াপাড়া এলাকাসহ পাক সেনাদের বিভিন্ন আস্তানায় আকাশ পথে এবং স্থলপথে একসঙ্গে হামলা চালায়। এসময় দুইদিন ধরে চলা যুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনী পরাস্থ হয়। ১১ ডিসেম্বর দুপুর ১টার দিকে মুক্তিযুদ্ধের ৭ নম্বর সেক্টরের আওতায় দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) হানাদার মুক্ত হয়।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যগণের আত্মত্যাগের প্রতি জাতীয় শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ হিলি মুহাড়াপাড়া এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘সম্মুখ সমর’ নির্মাণ করা হয়েছে।
হাকিমপুর, দিনাজপুর

Post a Comment