মোহাম্মদ রুস্তম আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কিশোরগঞ্জ-৬(ভৈরব–কুলিয়ারচর) আসনের স্থানীয় রাজনীতি, সামাজিক কাজ ও মানবিক কার্যক্রমে ধীরে ধীরে অন্যতম পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শোরা সদস্য হাজী মোহাম্মদ রুবেল হোসেন। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে যুব নেতৃত্ব, পরবর্তীতে ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান—সব মিলিয়ে তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিত একজন সক্রিয় সংগঠক।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা
হাজী মোহাম্মদ রুবেল হোসেনের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রা শুরু ছাত্রজীবনেই। পরে যুব রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে তিনি জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, বিশেষত একসময়ের সাংসদ নাজমুল হাসান পাপনের বিপরীতে নির্বাচন করে এলাকায় আরও পরিচিতি লাভ করেন।
বর্তমানে তিনি ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় শোরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় কাঠামো, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, জেলা–উপজেলার বিভিন্ন কার্যক্রম তদারকি ও বাস্তবায়নে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ
দলীয় দায়িত্বের বাইরে রুবেল হোসেন বিভিন্ন জাতীয় ও বিভাগীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেন। রাজনৈতিক আলোচনায় তার অবস্থান সবসময়ই পরিমিত ও সংগঠনমুখী, যা তরুণ নেতৃত্বের বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে স্থানীয় বহু পর্যবেক্ষকের মন্তব্য।
ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক
ভৈরব বাজারে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে তার পরিচিতি আছে। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমেও যুক্ত রয়েছেন। সামাজিক সংগঠন, মানবিক সেবা, অসহায় মানুষদের সহায়তা, বিভিন্ন দাতব্য কার্যক্রম—এসব ক্ষেত্রেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ স্থানীয়ভাবে সুনাম তৈরি করেছে।
মানবিক পরিস্থিতি বা জরুরি প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সামাজিক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা এবং স্থানীয় তরুণদের সংগঠিত কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেওয়া তার নিয়মিত অভ্যাস বলে পরিচিত মহল জানায়।
ভৈরব–কুলিয়ারচরের মাঠে সক্রিয় একজন সংগঠক
রাজনীতি, সমাজসেবা ও সংগঠনের বাইরে স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের মানুষের দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা, উন্নয়ন কার্যক্রম এবং জনদুর্ভোগের বিষয়ে তিনি নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কাজ করে থাকেন। এজন্য স্থানীয়দের কাছে তিনি একজন "সক্রিয় সংগঠক" এবং "সমাজমুখী নেতৃত্ব" হিসেবে বিবেচিত।
সময়োপযোগী প্রজন্মবান্ধব চিন্তাধারা
তরুণ সমাজের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ও রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরিতে তিনি বেশ সক্রিয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। আধুনিক রাজনৈতিক চিন্তা, সামাজিক দায়বদ্ধতা আর সাংগঠনিক দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি নিজেকে একটি সময়োপযোগী নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলছেন।

Post a Comment