Top News

রাজশাহীতে তীব্র সার সংকট

 




মো:  গোলাম কিবরিয়া

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: 

চলতি বছরের শুরুতেই তীব্র  সার সঙ্কটে পড়েছেন  রাজশাহীর কৃষকরা। বিশেষ করে আলুচাষিরা পড়েছেন বড়ো বিপাকে। অতিরিক্ত দামেও সার পাচ্ছেন না কেউ কেউ। সার কিনতে ডিলারের দোকানের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন চাষিরা। কিন্তু সরকারি মূল্যে সার পাচ্ছেন না। তবে অতিরিক্ত টাকা দিলে আবার অনেকেই পাচ্ছেন সেই সার। এক হাজার ৫০ টাকা দামের প্রতিবস্তা ডিএপি সার মিলছে ১৩ থেকে ১৪শ টাকা দামে। টিএসপি কোথাও নাই।

নভেম্বর মাসের বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত কোনো ডিলারই টিএসপি দিতে পারছে না। তবে ১৬শ ৫০ থেকে ১৮শ টাকা দিলে আবার এ সারও পাওয়া যায় । বস্তাপ্রতি তিন থেকে চারশ টাকা বেশি দাম দিলে আবার মিলছে এসব সার। ফলে আলুচাষিরা পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়। আলুচাষে খরচও বাড়ছে কৃষকদের। বেশি সংকটে পড়েছেন জেলার তানোর, গোদাগাড়ী, মোহনপুর ও পবা উপজেলার আলু চাষিরা। জেলার মধ্যে এই উপজেলাগুলোতে আলু চাষ বেশি হয়।

বাংলা গানের সিডি ডিভিডি

পবার দামকুড়া বাজারের সার ডিলার নজরুল ইসলাম জানান, তাঁর দোকানে টিএসপি বা ডিএপি  সারের সঙ্কট চরমে। সঙ্কটের কারণে কৃষকদের চাহিদামতো সার দিতে পারছে না তিনি। তিন বস্তা চাইলে কাউকে কাউকে কোনোভাবে এক বস্তা দিতে পারছেন। তবে গত দুই তিন ধরে সেটিও পারছেন না। সামনের ডিসেম্বর মাসের নতুন বরাদ্দ পেলে আবার টিএসপি ও ডিএপি সার দিতে পারবেন।

একই অবস্থা তৈরী হয়েছে জেলার প্রায় প্রত্যেকটি উপজেলাতেই। পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাগমারা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলাতে ডিএপি স্যার পাওয়া গেল মিলছে না টিএসপি সার। ফলে এসব উপজেলাগুলোতেও আলুচাষিরা এখন বেকায়দায় পড়েছেন। টিএসপি ও এমওপি সার প্রয়োগ করে আলুচাষ শুরু করবেন। কিন্তু সারের সঙ্কটের কারণে আলুচাষ শুরু করতে পারছেন না। তানোরের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি দরে টিএসপি ও ডিএপি সার পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বস্তাপ্রতি তিন থেকে চারশ টাকা অতিরিক্ত দিলে পাওয়া যাচ্ছে সার।

Post a Comment

Previous Post Next Post