পাঁচবিবি,জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর (নদীপাড়) গ্রামের বাবা-ছেলে মিলে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বাক প্রতিবন্ধী ছেলেকে কোমরে দড়ি বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এমন অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিততে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রতিবন্ধী ছেলেটি এলাকাবাসীর সহযোগিতায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, পুলিশ কতবার বাড়ি থেকে ফেন্সিডিল সহ ধরে নিয়ে গেল জেলে গেল। একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মোবাইল চুরির অভিযোগে একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতন করল তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার চেচড়া গ্রামের মৃত আজাহার-হামিদা বেগমের পালিত ছেলে প্রতিবন্ধী মামুনুর রশিদ মোহনকে (৪৭) উপজেলার ধরঞ্জী ইউপির রতনপুর (নদীপাড়) গ্রামের বাবুল ও তার ছেলে নাজমুল গতকাল বুধবার বিকালে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে শারীরিক নির্যাতন করে। প্রতিবন্ধী ছেলেকে অমানবিক নির্যাতনে এলাকার সবাই এগিয়ে আসে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। সুষ্ঠু বিচারের আশায় রাতেই বাপ ছেলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। রামভদ্রপুর চৌমুহনী বাজারের চা দোকানদার বাবু, এলাকার আরিফুল ও আব্দুর রহমান বলেন, আজাহার হামিদার প্রতিবন্ধী একটি ছেলে ছিল। সেই ছেলেটি পথ ভুলে দূরে কোথাও চলে যাওয়া বাড়িতে আর ফেরেনি। আজ থেকে প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে প্রতিবন্ধী মোহন এই এলাকায় এসে ঘোরাফেরা করছিল নিজের সন্তানের কথা মনে করে হামিদা তাকে লালন-পালন করেন। মোহন প্রতিবন্ধী হলেও সবার কথা শুনতো এজন্য সবাই তাকে ভালবাসে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল বলেন, আমার একটি বাটন ফোন সে চুরি করেছে ফেরতের জন্য কোমরে দড়ি বেঁধে রেখে ছিলাম। তিনি আরো বলেন, আমি একটা চড় মেরেছি কিন্তু ছেলে নাজমুল হয়ত ফোন চোরকে একটু মেরেছে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নিয়ামুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী আর ছেলেকে মোবাইল চোরের অপরাধে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Post a Comment