মোঃ আমজাদ হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ধরন্জী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মির্জাপুর গ্রামের আরবাফাত নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার
এমরানের ধান ক্ষেতে পার্শ্বে ঘোড়া নিমগাছে ( ১৮ নভেম্বর) ভোরে গলায় কাপড়ের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নিহত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
নিহত যুবক পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মোঃ আফসার আলীর ছেলে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। আরাফাত ১৭ নভেম্বর রাত ৮ টায় তার ভগ্নিপতির সঙ্গে ধরঞ্জি বাজারের ওষুধের দোকানে ওষুধ কেনার জন্য যায়। তার ভগ্নিপতি ফার্মেসিতে ঔষধ নেওয়ার সময় আরাফাত সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজি করে,ড় না পেয়ে পরিবারের লোকজন এলাকার মসজিদে নিখোঁজের বিষয়ে মাইকিং করে। পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর সকাল ৬টায় সময় একই গ্রামের জিয়াউল ইসলাম দেখতে পান মোঃ এমরান এর ধানক্ষেতের জমির উত্তর পার্শ্বে ঘোড়া নীম গাছের ডালের সঙ্গে আরাফাতের নিজের পরিহিত শার্ট গলায় পেচানো ঝুলন্ত মরা দেহ । তবে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশের দেহে পরিহিত জ্যাকেট ও প্যান্টে মাটি লাগানো ছিল। চিল্লাচিল্লি করলে স্থানীয় লোকজন সহ তার পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে এবং তারা আরাফাতের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। নিম গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা লাশ পাঁচবিবি থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে। আরাফাত হোসেন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মৃত আরাফাত একজন মানসিক রোগী ছিল তাই আরাফাত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ নিয়ামুল হক বলেন লাশ ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment