জাহিদুল ইসলাম জাহিদ স্টাফ রিপোর্টারঃ
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা পল্টন থানা জামায়াতের সেক্রেটারী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন বর্তমান সরকার একটি দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিন দিয়েছে এটি জনগন মেনে নিবে না। যে দলের কথা শুনে উপদেষ্টারা এমন সিদ্ধান্ত নিল তাদের দ্বারা জাতীয় নির্বাচন কেমন হতে পারে এতেই প্রমান পাওয়া যায়। ২৪ এর চেতনা মুছে ফেলে দিয়ে শহীদদের সাথে গাদ্দারী করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। ২৪ এর চেতনাকে ধারণ করে শোষন জুলুম নির্যাতন মুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তেই ইসলামী ছাত্রশিবির গণ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল এবং ফ্যাসিবাদের মাঠে যানবাজী রেখে লড়াই সংগ্রাম করেছিল। ৫৪ বছরে কোন নূন্যতম নৈতিকতা ছিল না শিক্ষা ব্যবস্থায়, যুবকদের ধ্বংস করতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্যই ছিল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দেশকে পরনির্ভশীলতা করা। তিনি বলেন, জাতি আশা করেছিল খুনি হাসিনাসহ আওয়ামী দোসরদের দ্রত বিচার হবে কিন্তু দীর্ঘ এক বছর পার হলেও হাসিনার বিচার হয়নি। রায়ের দিন ধায্য করা হয়েছে জনগন দ্রুত সে বিচারের রায় দেখতে চায়। চাঁদাবাজদেরকে বাংলার জনগন আর গ্রহন করবে না। একটা দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্রের সাথে আপোষ করে চলছে। নতুন করে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দেশ অস্থিতিশীল করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। শিবির জাতি গঠনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। সেই সংগঠনের সাবেক সাথী সদস্যদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য মাঠে ঝাপিয়ে পরতে হবে। তিনি শনিবার সকালে স্থানীয় সপ্নছোয়া কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জয়পুরহাট জেলা শাখার আয়োজনে সাবেক সাথী-সদস্যদের প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি তারেক হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমীর ও জয়পুরহাট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ফজলুর রহমান সাঈদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী জোন পরিচালক ও শিবিরের প্রথম সাবেক জয়পুরহাট জেলা সভাপতি আব্দুস সবুর, রাজশাহী জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি আহমদ উল্লাহ।
শিবিরের জেলা সেক্রেটারী আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মধ্যে বক্তব্য দেন হাসিবুল আলম লিটন, জয়পুরহাট-২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এসএম রাশেদুল আলম সবুজ, এ্যাড. আসলাম হোসেন, আল ইমরান হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন সুইট, আবু জার গিফারী, মাও: সাজেদুর রহমান সাজু।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্র নেতা সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, মাও: আনোয়ার হোসেন শহর জামায়াতের আমীর মাও: সাইদুর রহমান, নায়েবে আমীর মাও: আব্দুর রহিম, সেক্রেটারী মিজানুর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মামুনুর রশীদ পাটোয়ারী, শহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী, ফজলে রাব্বী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচশত জন সাবেক সাথী সদস্য সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানকে ঘিরে যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।

Post a Comment