ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনটে শশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রুবিনা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধু বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ২ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ তারাকান্দি গ্রামের আশাদুল ইসলাম লিমনের স্ত্রী ও কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর (কোদলাপাড়া) গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
রুবিনার বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, ৬ বছর আগে এলাঙ্গী ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে আশাদুল ইসলাম লিমনের সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে শশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি সালিসি বৈঠক করে কোন সমাধান হইনি। এক বছর আগে রুবিনাকে মারধর করে আমার বাড়িতে পাঠিয়েছিল। এতে আমি একটি মামলা দায়ের করেছিলাম। এরপর রুবিনার শশুরবাড়ি লোকজন সালিসি বৈঠক করে নিজেদের ভুল স্বীকার করে রুবিনাকে নিয়ে যায়। কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু। বৃহস্পতিবার সকালে যৌতুকের জন্য রুবিনাকে নির্যাতন করে শশুরবাড়ি লোকজন। নির্যাতনের একপর্যায়ে রুবিনা বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে রুবিনা মৃত্যুবরণ করে।
রুবিনার বাবার দাবি স্বামী, শাশুড়ি সহ শশুরবাড়ি লোকজনের নির্যাতনে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে রুবিনার শশুরবাড়ি লোকজন বলেছেন রুবিনা সকলের অগোচর আত্মহত্যা করেছে। গৃহবধূ রুবিনার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post a Comment