Top News

তেঁতুলিয়ায় শিশু আল হাবিব হত্যায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন | Daily Bogra



(তেঁতুলিয়া পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আল হাবিব (৬) নামের এক শিশুকে শ্বাসরোধ ও মাথায় ও পিঠে আঘাত ও হত্যা করে বাড়ির পাশের ১০০ গজ দুরে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের বাথরুমে ফেলে রেখে গেছেন দুর্বৃত্তরা। প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত অপরাধীদের শনাক্ত  ও গ্রেপ্তার করতে না পারার কারণে আজ ১৩ অক্টোবর বিকালে শিলাইকুঠি বাজারে  এলাকাবাসীরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেন।

উল্লেখ্য যে, গত ২৯ জুলাই রাত ৮ টার সময়ে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি বাজার এলাকায় বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশু আল- হাবিব উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি গ্রামের ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি মো. আশরাফুল ইসলামের একমাত্র ছেলে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিহত আল-হাবিবের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও গলায় তার পড়নের শার্ট প্যাঁচ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ইউনিয়ন পরিষদে7র বাথরুমে ফেলে দিয়েছে। এটা পরিকল্পনা মাফিক হত্যা। তারা আরো জানায়, এই অমানবিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।

এই সময় বক্তরা বলেন, এই মানববন্ধনের মাধ্যমে যদি অপরাধীদের শ্রিঘ্রই শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বক্তরা আরো বলেন প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনো অপরাধীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। তারা ধরাছোয়ার বাইরে কেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, অপরাধী যে হোক না কেন, আপনারা তাদের গ্রেপ্তার করা হোক।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ্ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুলার রহমান। ইউনিয়ন যুব দলের সদস্য সচিব জুয়েল রানা, ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক  আরিফুজ্জামান আরিফ। নিহত আল- হাবিবের দাদা মোশারফ হোসেন, নিহত হাবিবের চাচি আম্মা রৌশন আক্তার লাভলী। যুব ফোরামের সদস্য মিলন।

এই হত্যার ঘটনায় তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিষ্ঠা ও দক্ষতার সহিত কাজ করলেও স্থানীয়রা দ্রুত গতিতে ত্বরানি¦ত করার দাবী জানান।

৫ নং বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ প্রশাসনকে আমার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যগণ এবং স্থানীয়রা তদন্তে সহযোগীতা করে আসছে। আশা করি খুব শিঘ্রই এই হত্যার ঘটনা উৎঘাটন হবে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মুসা বলেন, এই হত্যার পর থেকে পুলিশ প্রশাসন সকল  প্রকার অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, আরো কাজ বাকি রয়েছে। তদন্ত সম্পূর্ণ হলে আসল অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post