Top News

বারহাট্টায় ৩ মাস চলেগেলেও ধর্ষণের অভিযুক্ত কিবরিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ | Daily Bogra

  


ওমর ফারুক আহম্মদ বারহাট্টা(নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ 

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর লামাপাড়া গ্রামে  ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরী বাচ্চা প্রসব করেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার গত ৩ সেপ্টেম্বর বারহাট্টা থানায়  ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পুলিশ ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের  সহযোগিতার অভিযোগে চন্দ্রপুর লামাপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী পারুল আক্তার(৪৫) কে আটক করে।কিন্তুু অভিযোগের  ৩ মাস চলে গেলেও এই ধর্ষণের ঘটনায়  মূল অভিযুক্ত কিবরিয়া(২৪) কে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় অসহায় গরীব পরিবারটি নিজেদের ধর্ষিতা মেয়ে ও নবজাতক শিশুটি নিয়ে পথে পথে ঘুরছে।

ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ,ধর্ষণ কারি কিবরিয়া সিংধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাসিমের আত্মীয় হওয়ায় উল্টো প্রভাব কাটানোর চেষ্টা করছে।তারা আরও অভিযোগ করেন থানা পুলিশকে মূল অভিযুক্ত ধর্ষণ কারি আটকের কথা বললে থানা পুলিশ ধর্ষণকে সন্ধান দিতে বলে।তারা আরো জানান আমরা গরীব মানুষ আমরা কিভাবে ধর্ষণ কারি কোথায় আছে এই তথ্য পুলিশকে দিবো। 

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য গণমাধ্যমের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় নারী প্রগতি সংঘের বারহাট্টা শাখার কেন্দ্র ব্যবস্থাপক সরোজিত ভোমিক।তা না হলে এই নারকীয় ধর্ষণের দায় রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে।

 মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার মূল অভিযুক্ত কিবরিয়া ২নং আসামি প্রতিবেশী পারুল আক্তারের বাড়িতে আগেই অবস্থান করছিল। ঘটনার সময় পারুল আক্তার ভুক্তভোগীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সে ঘরের বাহিরের সিটকারি লাগিয়ে চলে যায়। তখন সুযোগ পেয়ে খালি ঘরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত কিবরিয়া। বিষয়টি প্রথমে ভয়ে পরিবারকে জানায়নি ভুক্তভোগী। তবে পরিবর্তীতে ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। কিবরিয়া প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে সবকিছু অস্বীকার করে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানায়, আমরা গরীব মানুষ ত্রিপালের ঘরে বসবাস করি। আমার স্বামী ভাড়ায় অন্যর অটোরিকশা চালায়। কিবরিয়া আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে সর্বনাশ করেছে। কয়েকদিন ধরে মেয়ে কিছু খায় না, বমি বমি ভাব। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিষয়টি স্বীকার করে।পরবর্তীতে মামলা করলেও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।এখন আমার মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব।আমার ত টাকাও নাই।কিভাবে বিচার পাবো।

কিশোরীর বাবা জানান, কিবরিয়ার পরিবার প্রভাবশালী, আমি দিন মজুর। তাদের সাথে আমি হয়তো পারব না। আমি এ ঘটনার আমার মেয়ের উপরে হওয়া অন্যায়ের ন্যায় বিচার চাই।

মামলাটির দায়িত্বে থাকা এসআই মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ভিকটিমের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।অভিযুক্ত কিবরিয়াকে আটকের সব রকম চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post