খাদেমুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি,
পঞ্চগড়ে তেতুলিয়া সীমান্তে হিমালয়ের পাহাড় অনেক আগেই নেমে আসে শীতের আমেজ। সেই চিরচেনা দৃশ্যই আবারও প্রচণ্ড শীত পড়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসুমের এই তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের আগাম বার্তা দিচ্ছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
সকালে হালকা কুয়াশায় ঢেকে যায় অধিকাংশ এলাকা। তবে সেই কুয়াশা কাটিয়ে সকালেই সূর্যের দেখা মিলেছে না । এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ, ফলে ঠান্ডার অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে। তবে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ১১ থেকে ৫ ডিগ্রির ঘরে।
শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন নারীশিশুসহ দিনমজুর, বয়স্ক মানুষ । সকাল ও রাতে নিত্যদিনের কাজ করতে গিয়ে তাদের শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। উপজেলা, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি বলেও জানিয়েছে তেতুলিয়া স্বাস্থ্য বিভাগ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, হিমালয় থেকে নেমে আসা ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলে আরও কয়েক দিনে তাপমাত্রা কমতে পারে। রাত ও ভোরবেলায় কুয়াশার ঘনত্ব বাড়বে এবং শীতের অনুভূতিও আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যাপারে শনিবার ২৭ ডিসেম্বর সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, সকাল ৬টায় তেতুলিয়া তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
ইউএনও শীতার্তদের পাশে দাড়িয়েছেন
তেতুলিয়া গুরুত্ব পুর্ন হাট বাজারে রাতের আধাঁরে তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহিন খসরু তিনি অসহায় প্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন,( পাগল) এবং তেতুলিয়া বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার শীতার্তদের পাশে ৩ শত কম্বল বিতরন করার খবর পাওনা গেছে।

Post a Comment