রিয়াজুল হক সাগর, রংপুরঃ
র্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, সার্বিকভাবে সব ধরণের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে শারদীয় দুর্গাপূজায় ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। কেননা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন সুসংহত করা। তাই এই দুর্গাপূজা বর্তমানে শুধু হিন্দু সম্প্রদায়েরই উৎসব নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনায় কাজ করছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর করুনাময়ী কালীবাড়ি মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
একেএম শহিদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের মতো এবছরও র্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রংপুর বিভাগে র্যাব- ১৩ এর আওতায় মোট ৪৬৭০টি পূজামন্ডপ রয়েছে। এছাড়াও সমগ্র দেশব্যাপী সকল পুজা মন্ডপের নিরাপত্তায় র্যাব নিয়োজিত থাকবে। দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এ উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি এবং টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পূজা মন্ডপ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে র্যাবের ডগ স্কোয়াড ও প্রয়োজনীয় স্যুইপিং থাকবে। এছাড়াও র্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও র্যাব স্পেশাল ফোর্স এর কমান্ডো টিমকে যে কোন নাশকতা/হামলা ও উদ্ভূত পরিস্থিতি মোবাবেলার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিগত বছরে কিছু কাপুরুষ ও দুস্কৃতিকারী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছিলো। তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। এবার যাতে দুস্কৃতিকারী সেই অশুভ চক্র হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কোনরূপ হামলা, পূজামন্ডপ ভাংচুরসহ কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে ভার্চুয়াল জগতে যেকোন ধরণের গুজব/উস্কানিমূলক তথ্য/মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকা কেন্দ্রিক পূজা মন্ডপগুলোতে র্যাব পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি দায়িত্বে রয়েছে। সেই সার্বিকভাবে সেনাবাহিনী এবার মাঠে থাকবে। এসময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব কমিটি রংপুর জেলা ও মহানগরের আহবায়ক ডা. নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ রায়সহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি করুনাময়ী কালীবাড়ি মন্দির পরিদর্শন করেন এবং নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
Post a Comment