আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ- গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কৃতি সন্তান এসএম আরিফ মন্ডল বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের এডভোকেট-অন-রেকর্ড হিসেবে মাননীয় প্রধান বিচারপতির আদালতে প্র্যাকটিস করার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়েছেন। আপীল বিভাগের তিনজন মাননীয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নিয়োগ কমিটির মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এ সুযোগ লাভ করলেন।
তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬ নং বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাহার পিতা মোঃ আব্দুস সালাম মন্ডল বাদশাহ, পিতামহ-মৃত আব্দুস সোবহান মন্ডল, প্রপিতামহ- মৃত সায়েক উদ্দিন মন্ডল।
এসএম আরিফ মন্ডল হাইকোর্টের একজন নিয়মিত আইনজীবী। তিনি শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ। একই সাথে সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য প্রযোজ্য প্রশাসনিক আইন, কোম্পানী আইন, বুদ্ধিবৃত্তিক আইন, ওয়াকফ্ বিষয়ক মামলা পরিচালনা করে থাকেন। বেশ কিছু সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্যানেলভূক্ত আইনজীবী। এছাড়াও তিনি কিছু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে মামলা পরিচালনা করে থাকেন। কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পেইড রিটেইনার হিসেবে আইনগত পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ওকালতি ছাড়াও তিনি প্রায় প্রতিনিয়ত আইন বিষয়ক লেখালেখি করেন। সংশ্লিষ্ট মতামত ও লেখাগুলি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতিসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, বিজ্ঞ আইনজীবীদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কলামগুলির মধ্যে -সুপ্রিম কোর্ট বার ও বেঞ্চের কতিপয় সমস্যা ও তার সমাধান, বিচার বিভাগের বরাদ্দ দ্বিগুণ করার দাবি, সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী Complete Justice এর প্রয়োগ ও পরিধি, আদালতের গাছের ফল পাড়া বন্ধে আইনি নোটিশ প্রদান, হাইকোর্টের বিতর্কিত রায় ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান: একটি বিশ্লেষণ একটি, ড.ইউনুসের শ্রম আদালতের শাস্তি'র মামলায় খুঁটিনাটি, সুপ্রিম কোর্টের বার নির্বাচনে একজন ভোটারের প্রত্যাশা, উচ্চতর আদালতে একজন নবীন আইনজীবীর পথ চলা- এর মত তাঁর লেখনিগুলি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি পলাশবাড়ী থানাধীন সাতার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। অতঃপর গাইবান্ধা সদর থানার তুলসীঘাট কাশীনাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণীর পর্যন্ত সকল শ্রেণীতেই প্রথম হিসাবে উত্তীর্ণ হইতেন । ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে এলএলবি (অনার্স) সম্পন্ন করেন। একই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলএম ( মাস্টার্স )ডিগ্রি অর্জনের পর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে ওকালতি করার সুযোগ পান। ঢাকা বার আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে ওকালতির পর ২০১৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। সর্বশেষ বিগত ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের এডভোকেট-অন-রেকর্ড হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য এ্যাড. আরিফ মন্ডল যিনি পলাশবাড়ী থানার সন্তান হিসেবে এই প্রথম আপীল বিভাগের আইনজীবীর তালিকাভুক্ত হলেন। তিনি অত্র উপজেলার পল্লী অগ্রগতি সংস্থা'র পরিচালক জনাব সুরুজ হক লিটন এর আপন মামাতো ভাই।

Post a Comment