Top News

গোপালপুরে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা,দাখিল জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা এবং এবতেদায়ী মাদ্রাসা পরীক্ষা শুরু।

 


-বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী 

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :

 টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সারা দেশের ন্যায় গোপালপুর সূতী ভি.এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ এবং গোপালপুর আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে এবতেদায়ী বৃত্তি,দাখিল জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়।

২০১০ সাল হতে জিএসসি,এবং জিডিসি, এবাতেদায়ী সমাপনি পরীক্ষা ২০২০ সাল পযন্ত চালু ছিল। ২০২৫ সাল হতে জিএসসি,জিডিসি এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১০ সালের পূর্বের ধারায় জুনিয়র বৃত্তি, দাখিল জুনিয়র বৃত্তি এবং এবতেদায়ী বৃত্তি পরীক্ষা প্রবর্তন করা হয়।

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা সূতী ভি.এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার ৫১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে  ৩৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নাই।

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় ১২৮ জন ছাত্র ও ২১৯ জন ছাত্রীসহ সর্বমোট ৩৪৭ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আর অনুপস্থিত পরীক্ষার্থী ৪৩ জন।

এই বছর সূতী ভি.এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৫১ জন ও সূতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৩১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে।

অনুরূপ গোপালপুর আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে উপজেলার ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ০৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪২ জন শিক্ষার্থী দাখিল জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।বাকী ১৭টি মাদ্রাসা হতে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নাই।

গোপালপুর আলিয়া মাদ্রাসা হতে ২১ জন শিক্ষার্থী  অংশগ্রহণ করে, এবতেদায়ী বৃত্তি পরীক্ষায় ২৩টি মাদ্রাসার মধ্যে ১৩টি মাদ্রাসা হতে ৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বাকী ১০ টি মাদ্রাসা হতে কোনো শিক্ষার্থী ছিলো না। গোপালপুর আলিয়া মাদ্রাসা হতে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে।

জুনিয়র এবং দাখিল জুনিয়র বৃত্তি ৪০০ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।পরীক্ষার সময় ৩ ঘন্টা।

এবতেদায়ী বৃত্তি পরীক্ষা ৪০০ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।সময় ২.৩০ ঘন্টা। 

পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন গোপালপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো.জিল্লুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.মফিজুর রহমান।

মো.নজরুল ইসলাম বলেন। পরীক্ষায় উপস্হিতির সংখ্যা  খুবই হতাশা জনক। শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে  নীতিমালার ভিত্তিতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের  অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

সূতী ভি.এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচির জনাব মো: আতিকুর রহমান বলেন সরকারি নির্দেশনা মেনে পরীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে।

আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র সচিব আঃ মালেক মাদানী বলেন  প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী যাতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এ বিষয়ে  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক আঃ হাই, মো.বদিউজ্জামান শিকদার সহকারী অধ্যাপক কে.এম শামীম,সুপার আমিনুল ইসলাম, প্রভাষক মশিউর রহমান প্রমুখ।

Post a Comment

Previous Post Next Post