উজ্জ্বল কুমার জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁ জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মশার উপদ্রবে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ অসহায় রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত দেখার কেউ নেই?
প্রথম শ্রেণির নওগাঁ পৌরসভায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী।
বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই। মশার কয়েল, ধোঁয়া ও স্প্রে সব কিছুই যেন মশার কাছে হার মানছে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও যেন রেহাই নেই। এতে বাড়ছে ডেঙ্গু। দুশ্চিন্তায় পৌর বাসিন্দারা। পৌরবাসীর অভিযোগ, পৌরকর বাড়ানো হলেও পৌর সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মশা নিধনে প্রশাসনিক এলাকাগুলোয় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৫৯ জন আক্রান্ত অক্টোবরে ১২০ জন এবং সেপ্টেম্বর ১১৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩২৪ জন। নওগাঁ পৌরসভা প্রথম শ্রেণি। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজারের ওপর।
পৌরসভায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তূপ। অধিকাংশ ড্রেনে নেই ঢাকনা। এতে ময়লা-আবর্জনার চাপে ড্রেনের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। আবর্জনায় মশা ও মাছি জন্ম নেয়। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করা এবং যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার কারণে মশার উৎপাত বেড়েছে।
পৌরসভার মশক নিধন কার্যক্রমের অভাবে মশার বিস্তার চরম আকার ধারণ করেছে। এতে পৌরবাসী মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
উপদ্রব এমন ভাবে বেড়েছে যে, ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না। সন্ধ্যার আগে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।
মশা কামড়ানোর পর সে স্থানে ফুলে যন্ত্রণা করে। বাসাবাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই। মশার কয়েল, ধোঁয়া ও স্প্রে সব কিছুই যেন মশার কাছে হার মানছে। দিনের আলোতেও মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে কয়েল ব্যবহার করতে হচ্ছে।
নওগাঁ পৌরসভা প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মশক নিধনের জন্য তিনটি ফগার মেশিন ও তিনটি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন আছে। দুই বছর থেকে পৌরসভায় মশক নিধনের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে পৌর রাজস্ব আয় থেকে মশক নিধনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পৌরসভার প্রতিটি মহল্লায় পর্যায়ক্রমে মশক নিধনের কাজ করা হয়। তবে ফগার মেশিনের চেয়ে হ্যান্ড স্প্রে মেশিনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে মশার লাভা ধ্বংস করা হচ্ছে।
নওগাঁ



Post a Comment