মোঃ জাহিদুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ চিনিশিল্প করপোরেশন শ্রমিক–কর্মচারী ফেডারেশনের চার দফা দাবির বিষয়ে করপোরেশন চেয়ারম্যান গ্রেড–১ এর সঙ্গে বৈঠকে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও দাবি উপেক্ষিত হওয়ার অভিযোগ তুলে জয়পুরহাট চিনিকলসহ দেশের সব চিনিকলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জায়েদ হোসেনকে ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে ফোনে চেয়ারম্যান দপ্তরের সমন্বয় কর্মকর্তা আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। নির্ধারিত আলোচনার সময় (২৬ নভেম্বর দুপুর ১টা) ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হলে তাদের কাছে অনুমতিপত্র প্রদর্শনের কথা বলেন চেয়ারম্যান। ফেডারেশনের দাবি, এসময় চেয়ারম্যান ও কয়েকজন পরিচালক অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং যৌক্তিক দাবি নিয়ে আলোচনা না করে আক্রোশ প্রকাশ করেন।
এ পরিস্থিতিতে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈঠক বর্জন করেন এবং অবিলম্বে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ফেডারেশনের প্রধান দাবিসমূহ
১. মৌসুমী শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থায়ী পদে সমন্বয় এবং কানামনা শ্রমিকদের স্ব স্ব পদে নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত সব মিল/প্রতিষ্ঠানে কানামনা শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখা।
২. ১ জুলাই ২০২৫ থেকে শ্রমিকদের জন্য ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রদান এবং সুবিধাটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় মহার্ঘভাতা অগ্রিম প্রদান অব্যাহত রাখা।
৩. দৈনিক হাজিরাভিত্তিক দক্ষ জনবলের দৈনিক মজুরি সরকারি গেজেট অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ, যা বর্তমানে শ্রম আইনবিরোধীভাবে কম নির্ধারিত হয়েছে বলে দাবি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ১৫% বিশেষ সুবিধাসহ দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি অপরিহার্য বলে ফেডারেশনের দাবি।
৪. ২০২৫–২৬ মাড়াই মৌসুম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে শুক্রবার ও ছুটির দিনে সিডিএ/সিআইসি কর্মচারীদের ৮ ঘণ্টা ডিউটি নির্ধারণ, কারখানা ও আখ সংগ্রহ বিভাগের কাজ দ্রুততর করা, অতিরিক্ত সময়ভাতার অপচয় রোধে শূন্য পদের বিপরীতে মৌসুমী দৈনিক মজুরিভিত্তিক জনবল নিয়োগের অনুমতি প্রদান।
Post a Comment