ভূমি অফিসে হয়রানির অভিযোগে ক্ষুব্ধ সেবাপ্রত্যাশীরা, স্বচ্ছ সেবার দাবি | Daily Bogura

 


হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি পৌর ভূমি অফিসে সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষ। সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, তহশিলদারের সীমিত দক্ষতা, কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে একটি ছোট কাজ সম্পন্ন করতেও মাসের পর মাস ঘুরতে হয়।

মো. আনিছুর রহমান নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এখানে কোনো কাজ করতে গেলে অজুহাতের শেষ নেই। একটি কাগজ তোলার জন্যও দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়।

মো. ইমদাদুল হোসেন অভিযোগ করেন, জমির খাজনা দিতে গেলেও নানা ফাঁকফোকরে কাজ আটকে যায়। কখনো বলা হয় ফাইল নেই, কখনো বলা হয় কর্মকর্তা ব্যস্ত।

মোছা. উম্মে খাতুন বৃষ্টি জানান, খাজনা জমা দেওয়া থাকলেও আমার নামজারি করা হচ্ছে না। তহশিলদার নিজে কম্পিউটার জানেন না, বাইরে থেকে লোক এনে কাজ করান—এতে সময় আরও বেশি লাগে। দ্রুত ও আধুনিক সেবা দিতে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তার প্রয়োজন।

মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘‘সঠিক তথ্য না পাওয়ায় অনেকেই দালালের দ্বারস্থ হচ্ছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ করেও ফল পাইনি। মনে হয় তার প্রভাব অনেক।

মো. মোলায়েম হোসেন বলেন, অনলাইনে সব খাজনা ও খারিজের কাজ সম্পন্ন করেছি। তবুও নানা অজুহাতে ফাইল ঝুলে থাকে। রাতের বেলায় তদন্তের নামে কাজ করা হয়, যা সন্দেহজনক।

শাহিদা বেগম আবেগঘন কণ্ঠে জানান, একই দাগের অন্যদের খারিজ হয়ে গেলেও আমার চারবারের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। ইচ্ছে করেই হয়রানি করা হচ্ছে বলে মনে হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর তহশিলদার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, কাজের চাপ অনেক। নিয়ম মেনেই সব কাজ হয়। কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।

হাকিমপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাব্বির হোসেন বলেন, তহশিলদারের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।

দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জানে আলম বলেন, ‘‘জনগণকে দ্রুত সেবা দেওয়াই মূল লক্ষ্য। প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, স্বচ্ছতা ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট সেবা চালু হলে ভূমি অফিসের হয়রানি ও দালালচক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে।

আলী মুর্তজা হিলি প্রতিনিধি 

০১৯১৩৭৯২৮০২

Post a Comment

Previous Post Next Post